শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

সাফল্য কি, কেন, কীভাবে?




১।  সাফল্য হচ্ছে  আমাদের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার যেমন অর্জিত হয় অনেক শ্রমে, অনেক ত্যাগে ঠিক তেমনি এই সাফল্যের পিছনেও রয়েছে অনেক বাধা অনেক মরীচিকা । পথ চলতে গিয়ে আমাদের হারিয়ে যেতে হই এই চোরাবালিতে। এখানে ভয়ের কোন স্থান নেই। সাফল্য অর্জনে কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে নেই।
মনে রাখতে হবে সফল ও ব্যর্থ মানুষের মাঝে পার্থক্য শুধু একটাই, আর তা হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে সফল করে আর ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে ব্যর্থ করে।তাই তো বলা হয় দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও,জীবন বদলে যাবে।
২।  সাফল্য কি? আমরা সবাই জানি,সাফল্যের অনেক ধরন আছে যেমন, মানসিক সাফল্য হচ্ছে প্রশান্তি,শারিরিক সাফল্য হচ্ছে সুস্বাস্থ্য, আর্থিক সাফল্য হচ্ছে সচ্ছলতা এরকম আরো অনেক ধরনের সাফল্যের উদাহরণ দেয়া যাবে কিন্তু এক কথাই বলতে গেলে সাফল্য হচ্ছে অভাববোধের অনুপস্থিতি।
৩।  ব্যর্থতার অনেক কারন রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে প্রধান কারন গুলো হচ্ছে খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ।সাফল্যের পথে সন্দেহ বা সংশয় । নানা রকম নেতিবাচক প্রশ্নই হচ্ছে ব্যর্থতার অন্যতম  কারন। হবে কি না, পারব কি না, আমার দ্বারা কি এটা সম্ভব , যদি না হয় তাহলে কি হবে এই সব প্রশ্নই আপনার ব্যর্থতার কারন হয়ে দাঁড়াবে।সাফল্য অর্জনের জন্যে প্রথমেই আপনাকে এই সব নেতিবাচক প্রশ্ন, ভয় ও আশঙ্কা দূর করতে হবে। সংশয় প্রথমেই মনকে পঙ্গু করে দেয়। আর এই পঙ্গু মন নিয়ে আপনি কিভাবে সাফল্য অর্জনের কথা চিন্তা করেন???
তাই সাফল্য অর্জনের জন্যে আপনাকে অবশ্যই  আপনার কাজের প্রতি আত্তবিশ্বাস রাখতে হবে। কখনই মনে নেতিবাচক প্রশ্ন আনবেন না । আপনি কেন পারবেন না??আপনিই পারবেন ।  শুধু মাত্র আত্তবিশ্বাস রাখুন আর কঠোর শ্রম করুন।আপনার সাফল্য আর কে ঠেকায়..................
৪।   মনে রাখবেন এখন আপনি যেভাবে আছেন এটাই জীবন না। জীবন এর চেয়ে অনেক অনেক বড় কিছু। নতুন কাজে পদক্ষেপ নিতে ভয় পাবার কিছুই নেই। মনে রাখবেন, জীবনে রিস্ক নেয়া ভয়ের বিষয় না বরং এটা হচ্ছে উপভোগ করার বিষয়।
৫।    অলীক কল্পনা থেকে দূরে থাকুন। কী হলে কী হত, এমন যদি হত, যদি আমার এটা থাকত এ সব চিন্তা ধারার অর্থই হচ্ছে আফসোস, আলস্য, কিংবা অন্যের সাহায্যের অপেক্ষা। এই অলীক কল্পনার মুলে রয়েছে সব কিছুই বিনা পরিশ্রমে ও রাতারাতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা , কাজে ফাকি দেয়া, সাফল্যের জন্যে অন্যের সাহায্যের আশা কিংবা ব্যর্থতাই অন্যকে দোষারোপ করা।
৬।  আলস্য...............প্রয়োজনীয় কাজ সময়মত না করে ফেলে রাখার নামই হচ্ছে আলস্য। আকাশকুসুম কল্পনা, আড্ডা, টিভি,ইন্টারনেট, চ্যাটিং,প্রেম, এসএমএস – সবকিছুর জন্যেই আপনার সময় আছে শুধু সময় নেই বা আগ্রহী নয় প্রয়োজনীয় কাজ করার । শারীরিক দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা কিংবা পারিপার্শ্বিক প্রতিকুলতার হাজারটি কারন তারা দাড় করাতে পারে এক নিমিষেই। আলস্যের মুল কারন হচ্ছে লক্ষ্যহীনতা- কাজটি কেন করতে হবে তা নিজের কাছে পরিষ্কার না হওয়া।কোন কাজকে করবো করবো করে ফেলে রাখা উচিৎ নয়। কাজটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করাই ভাল, ফেলে রাখলে তা থেকে আপনি কিছুটা হলেও পিছিয়ে যাবেন কারন কাজটি তখন আর মনের মত হয় না
তাই সময়ের কাজটি সময় থাকতেই সেড়ে ফেলুন। আপনার সাফল্যের পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৭।    সর্বদা মনে রাখবেন , আপনিই পারেন সাফল্য অর্জন করতে। কারন আপনিই হচ্ছেন একজন বিজয়ী বীর । যে কিনা এমন একটি শুক্রানুর পরিণত রূপ যে কিনা ৪০ থেকে ৫০ কোটি শুক্রানুর সাথে যাত্রা শুরু করে ডিম্বানুর সাথে একাই মিলিত হয়েছে । বিজয়ী হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ কোটি শুক্রানুর মাঝে। জীবনের প্রথম সংগ্রামেই জয়ী হয়েছেন। আর এখনো আপনি জীবনের প্রতিটি সংগ্রামেই জয়ী হবেন যদি আপনার প্রতিটি প্রত্যাশাকে, প্রতিটি অনুভবকে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারেন।
৮।     আপনার যা আছে, যতটুকু আছে সেজন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বর্তমান সামর্থ্য ও উপায় উপকরন নিয়েই মাঠে নেমে পড়ুন।
৯।   আপনার লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্টভাবে চাওয়া এবং আমি হবই বলে আত্তবিশ্বাস রাখা।
১০। একাই কাজ করার চেয়ে সবাই মিলে কাজ করতে শিখুন, এতে অর্জনের পরিমান বেশী হই তাছাড়া কাজটি যেমন দ্রুত হই তেমনি নির্ভুল হই। তাই “আমি” এর পরিবর্তে “আমরা” ভাবতে শিখুন।
আমরা চাই সাকসেস । আর এই সাকসেসের জন্যই আমাদের এত কিছু... তা সাফল্য অর্জন করতে শিখুন...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন